তথ্য ও প্রযুক্তি তথ্য প্রযুক্তি বা আইটি বর্তমানে আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়েছে। আধুনিক বিশ্বের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এর প্রভাব অপরিসীম। দৈনন্দিন জীবনের প্রায় সবকিছুই এখন তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। ১৯৪০-এর দশকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকে কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয়। প্রথমদিকে এটি ছিল খুবই বড় এবং ভারী। সেই সময়ে এর ব্যবহার সীমিত ছিল এবং শুধুমাত্র বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও সামরিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়ন দ্রুত গতিতে অগ্রসর হয়েছে। ইন্টারনেটের আবিষ্কার তথ্য প্রযুক্তির আরও একটি বড় সাফল্য। ১৯৯০-এর দশকে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হয় এবং দ্রুতই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য আদান-প্রদান সহজ হয়ে যায় এবং জ্ঞান ও সংবাদের দ্রুত সম্প্রসারণ ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আবির্ভাব মানুষের জীবনে এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করে। বর্তমানে মোবাইল প্রযুক্তির উন্নয়ন তথ্য প্রযুক্তিকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছে। স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেটের মাধ্যমে মানুষ যে কোনো সময়, যে কোনো স্থান থেকে ইন্টারনেটে প্রবেশ করতে পারছে। অনলাইন শপিং, ব্যাংকিং, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনোদনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জীবনকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করে তুলেছে। তথ্য প্রযুক্তির অগ্রগতি শিক্ষাক্ষেত্রেও অপরিসীম অবদান রাখছে। অনলাইন কোর্স এবং ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সহজেই বিশ্বের যে কোনো প্রান্ত থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারছে। গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিকে আরও দ্রুততর করেছে। বাংলাদেশ সরকার ঘোষণা দিয়েছে ২০৪১ সালে আমাদের দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত হবে। যার ধারক ও বাহক হবে তথ্য ও প্রযুক্তির উন্নয়ন। সার্বিকভাবে, তথ্য প্রযুক্তির বিস্ময়কর উন্নয়ন আমাদের জীবনের প্রায় সবক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এটি আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে সহজ, দ্রুত এবং কার্যক্ষম করে তুলেছে। ভবিষ্যতে তথ্য প্রযুক্তির আরও নতুন নতুন উদ্ভাবন আমাদের জীবনকে আরও সমৃদ্ধ ও গতিশীল করবে। ২)) বাংলাদেশ বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি ছোট দেশ, যার জনসংখ্যা প্রায় ১৬ কোটি। দেশের রাজধানী ঢাকা, যা দেশের প্রধান বাণিজ্যিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র। বাংলা ভাষা বাংলাদেশের রাষ্ট্রভাষা, এবং এটি বিশ্বের ষষ্ঠ বৃহত্তম ভাষাভাষী দেশ। বাংলাদেশের প্রধান ধর্ম ইসলাম, যদিও এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান এবং অন্যান্য ধর্মের লোকও বাস করে। দেশের প্রধান অর্থনৈতিক খাত হলো কৃষি, যা মোট জনসংখ্যার একটি বড় অংশকে কর্মসংস্থান প্রদান করে। এছাড়া, তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন সুন্দরবন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, এবং চট্টগ্রাম পাহাড়ি এলাকা পর্যটকদের আকর্ষণ করে।